আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
যাঁরা আমদানি করে বিক্রি করেন অর্থাৎ বাণিজ্যিক আমদানিকারক, তাঁদের ভ্যাট সংক্রান্ত কিছু বিষয় আজ আলোচনা করবো, ইন-শা-আল্লাহ।
অনেকে মনে করেন যে , আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট দিয়েছি , তাই আর ভ্যাট দিতে হবে না । আবার , অনেকে মনে করেন যে, আমদানি পর্যায়ের বেইজ ভেল্যুতে বিক্রি করলে ভ্যাট দিতে হয় না বলে জানতাম। এরকম বিধান আগের ভ্যাট আইনে ছিল। এখন নেই। আবার, অনেকে অপেশাদার পরামর্শকের পাল্লায় পড়ে কিছু লাম্পসাম ভ্যাট জমা দেন। অনেকেই সঠিকভাবে ডকুমেন্টেশন রাখেন না।
এনবিআর-এর সিস্টেমে সকল আমদানি তথ্য রয়েছে। পরবর্তীতে সিস্টেম থেকে তথ্য নিয়ে যখন অডিট করা হয়, তখন নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হয়। এই জটিলতা সহজেই এড়ানো যেতো যদি বাণিজ্যিক আমদানিকারক একটু ভ্যাট সচেতন হতেন।
যাঁরা আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং আগাম কর পরিশোধ করে আসেন, তাঁরা যদি হিসাবপত্র সংরক্ষণ করেন, কোএফিশিয়েনট ঘোষণা দেন এবং রেয়াত নেন, তাহলে তাঁদের প্রদেয় ভ্যাট খুব কম হয়।
সকল বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের অনুরোধ করি, হিসাবপত্র সংরক্ষণ করুন, রেয়াত নিন এবং ঝামেলামুক্ত থাকুন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
ড. মোঃ আব্দুর রউফ স্যার
No comments:
Post a Comment